যে খাবারগুলি নিয়মিত খেলে মাথার চুল পড়া কম হবে
মাথার চুল পড়তে থাকা এক চিরকালীন সমস্যা। কিন্তু যৌবন কালে মাথার চুল অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কম বয়সে যে সকল কারণে বেশী পরিমাণে চুল পড়তে পাড়ে সেগুলির মধ্যে -
(i) সঠিক পুষ্টির অভাব বা অপুষ্টি,
(ii) দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক রোগ,
(iii) জটিল রোগের চিকিৎসা বা থেরাপি,
(iv) বংশগত,
(v) হরমোনের পরিবর্তন
(vi) গর্ভধারণ
- এই কারণগুলি অন্যতম।
![]() |
| Image Source: Freepik.com |
তবে আমরা এখানে চুল পড়া কম করার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার বা পুষ্টিকর উপাদানগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।
ভিটামিন A:
ভিটামিন A আমাদের চুলের গোড়ায় অবস্থিত সেবাম গ্রন্থির ক্ষরণে সাহায্য করে। যার ফলে চুল শুস্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় এবং আমাদের চুলের গোড়া মজবুত থাকে।
ভিটামিন A সমৃদ্ধ খাবার:
ভিটামিন A সাধারণত সবুজ শাকসব্জি এবং ফলমূলে বেশী পরিমাণে পাওয়া যায়।
-
| ভিটামিন A | শাকসবজি | ফলমূল | অনান্য |
|---|---|---|---|
| শাকসবজি | ফলমূল | ডিম | |
| গাজর | আম | দুধ | |
| ফুলকপি | আঙ্গুর | পনির | |
| ব্রকোলি | পেঁপে | মাংস | |
| লাল ক্যাপসিকাম | পেয়ারা | সামুদ্রিক মাছ | |
| আলু | তরমুজ | ||
| পালং শাক | |||
| মিষ্টি আলু | |||
| কুমড়ো | |||
| স্কোয়াশ | |||
| টমেটো |
ভিটামিন C:
ভিটামিন C কোলাজেন প্রোটিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ফলে চুলের বৃদ্ধি হয়। ভিটামিন C মাথার চুলের সংলগ্ন ত্বক ভালো রাখে ফলে চুল শুষ্কতা, খুসকি, চুলকানি ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির (UV)-র হাত থেকে মাথার ত্বক এবং চুলকে ভিটামিন C অনেকটা রক্ষা করতে পারে।
ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার:
কাঁচা ফল খাদ্য হিসাবে সরাসরি খেলে ভিটামিন C বেশী পরিমাণে পাওয়া সম্ভব। কারণ রান্না করা শাকসব্জীতে ভিটামিন C এর পরিমাণ অনেক কম থাকে। অন্যদিকে ফ্রিজে দীর্ঘদিন রাখা ফল এবং শাকসবজি থেকে ভিটামিন C এর পরিমাণ হ্রাস পায়।
-
-
| ভিটামিন C | শাকসব্জী | ফলমূল | অনান্য |
|---|---|---|---|
| ব্রকোলি | পাতিলেবু | তেজপাতা | |
| ক্যাপসিকাম | কমলালেবু | গোলমরিচ | |
| আলু | কুল | ধনে গুড়ো | |
| টমাটো | পেয়ারা | জাফরান | |
| ফুলকপি | আমলকী | হলুদ | |
| পেঁপে | স্ট্রবেরী | ||
| পালং শাক | আঙুর | ||
| বাঁধাকপি | আম | ||
| শালগম | ডালিম | ||
| কাঁচালঙ্কা | কিউয়ি | ||
| সর্ষে শাক | |||
| ধনে পাতা |
ভিটামিন D:
ভিটামিন D আমাদের মাথার চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের মাথার চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
ভিটামিন D সমৃদ্ধ খাবারঃ
ভিটামিন D আমাদের ত্বকে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে উৎপন্ন হয়। এছাড়া বিভিন্ন আমিষ জাতীয় খাবার এবং সাপ্লিমেন্ট থেকে বেশী পরিমাণে ভিটামিন D পাওয়া সম্ভব।
-
-
| ভিটামিন D | শাকসবজি | ফলমূল | অন্যান্য |
|---|---|---|---|
| মাশরুম | কিউই | দুধ | |
| পালং শাক | কমলা | দই | |
| উচ্ছে | কলা | ডিম | |
| লাউ | পেয়ারা | সামুদ্রিক মাছ | |
| মিষ্টি আলু | পেঁপে | চর্বিযুক্ত মাছ | |
| মিষ্টি কুমড়ো | তরমুজ | মাংস | |
| ব্রোকোলি | আমলকি | মেটে | |
| ভিন্ডি | আনারস | চীজ | |
| সজনের ডাঁটা | মাখন | ||
| মটরশুঁটি | সয়াবিন | ||
| ঝিঙ্গে | ওটমিল্ক | ||
| লাল শাক | আমন্ড মিল্ক | ||
| মেথি শাক | সয়া মিল্ক | ||
| ফুলকপি | পনির | ||
| ডালিয়া |
![]() |
| Image by Freepik |
একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে ভিটামিন D মাথার চুলকে রক্ষা করার পাশাপাশি আপনাকে সুস্থ জীবনযাপন করতে সহায়তা করে। তাই ভিটামিন D-কে কখনই অবহেলা করা উচিত নয়। নিরামিষ ভোজী, বয়স্ক, ক্রনিক রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি এবং গর্ভবতী মহিলাদের রক্তে ভিটামিন D-এর মাত্রা অবশ্যই নিদিষ্টি সময় অন্তর পরীক্ষা করা করা দরকার। শরীরে ভিটামিন D-এর অভাব দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ মত ভিটামিন-D সাপ্লিমেন্ট (যেমন ক্যাপসুল) সেবন করা উচিত। এছাড়া অভিজ্ঞ ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন