বজ্রপাত সম্পর্কে সচেতন হন এবং বাড়ির সুরক্ষার জন্য এখনই এই পদক্ষেপগুলো নিন
পরিবেশ দূষণ এবং পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। ফলে কম উচ্চতা বিশিষ্ট মেঘের স্তরে খুব তাড়াতাড়ি বজ্রগর্ভ মেঘের সূত্রপাত ঘটে। ফলে কালো মেঘ থেকে জোরালো বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সঙ্গে ঘন মেঘে বিদ্যুতের ঝলকানি এবং সঙ্গে বাজ পড়ার তীব্র আওয়াজ।
![]() |
| Image Source: Image by freepik |
ঝড়বৃষ্টির পরে দেখলেন যে বাড়ির এক বা একাধিক ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী অচল হয়ে গেছে। টেকনিশিয়ান আপনাকে জানালেন যে বাজ পড়ার কারণে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন হলো কি কি পদক্ষেপ নিলে বাজ পড়ার কারণে ঘটা বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
(i) পুরোনো ইলেকট্রিক ওয়্যারিং সংশোধনঃ
আপনার বাড়ির ইলেকট্রিক ওয়্যারিং দশ পনেরো বছরের বেশি পুরোনো হয়ে গেলে, একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে বাড়ির ইলেকট্রিক লাইন পরীক্ষা করাতে হবে। বাড়ির আর্থিং-এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। সার্জ প্রোটেশন ডিভাইস লাগানোর ব্যাপারে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিন।
প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিছু ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যেমনঃ এসি, কুলার, ফ্যান, ফ্রিজ, কম্পিউটার, সাউন্ড বক্স, টিভি, সেট টপ বক্স, ইন্টারনেট মোডেম, রাউটার, সুইচ, ল্যান্ডফোন ইত্যাদি ডিভাইসে বিদ্যুৎ সরবাহর পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে।
(iii) নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবেঃ
প্রচন্ড ঝড় এবং বজ্রপাতের সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে জানলা, ব্যালকনি এবং বারান্দা থেকে দূরে থাকতে হবে। মেঝেতে কার্পেট না থাকলে, কাঠের তৈরী খাট বা চেয়ারে বসে থাকা অনেক নিরাপদ হবে।
প্রচন্ড ঝড় এবং বজ্রপাতের সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে জানলা, ব্যালকনি এবং বারান্দা থেকে দূরে থাকতে হবে। মেঝেতে কার্পেট না থাকলে, কাঠের তৈরী খাট বা চেয়ারে বসে থাকা অনেক নিরাপদ হবে।
(iv) বজ্রনিরোধোক বসাতে হবেঃ
যে সব এলাকায় অতিরিক্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে যেমন বড় বড় আবাসনের ছাদে, কলকারখানায়, মোবাইল এবং ইলেকট্রিক টাওয়ারে বজ্রনিরোধক বসানো উচিত। গ্রামীণ এলাকায় যেখানে চাষের জমি আছে সেখানে চাষিদের বজ্রাঘাতের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বজ্র নিরোধক টাওয়ার বসানোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন